আলোক শিল্পী থেকে জরুরি পরিষেবার গাড়ির ড্রাইভার,মানব সেবায় মহান ত্যাগ, লন্ডনের এলিয়ট গ্রিগসের।

করোনা কি ভয়াবহ? প্রশ্নের উত্তরে, এই দেশ শুধু না, সমগ্র বিশ্ব একযোগে বলবে হ্যাঁ ! কারণ, এই একটি চিনা ভাইরাস, নাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বের সুস্থ থাকার ভিতকেই। শেষ করেছে ভালোথাকাকে। কিন্তু এইসব ভালো না থাকার মধ্যেও, কিছু খবর মণভালো করে অনবরত। যেমন এলিয়ট গ্রিগস! তাঁর কাহিনী প্রকাশ করেছে সংবাদসংস্থা রয়টার্স।

লন্ডনে করোনার প্রকোপ। করোনায় ত্রস্ত গোটা বিশ্ব। বিশ্বের মানুষ এখন ঘরবন্দি। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে কিছু মানুষ আছেন যারা মানুষের সেবায় এখনো নিজেদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তেমনই একজন ব্যক্তি এলিয়ট গ্রিগস। তিনি লকডাউনের আগে লন্ডনের নতুন মঞ্চ প্রযোজনায় কর্মরত। সেখানে তিনি আলোক ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতেন৷

লকডাউনের পর রিহার্সাল বন্ধ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, ৩১ বছর বয়সী আলোক ডিজাইনার দক্ষিণ লন্ডনের শহরতলির রাস্তায় একটি ডেলিভারির গাড়ির চালকের কাজে যোগ দেন।

১৯৯৯ সালে ফোবি ওয়ালার-ব্রিজের “ফ্লাইবাগ” ওয়েস্ট এন্ড প্রযোজনায় কাজ করার পরে, তিনি স্বীকার করেছেন যে এই পরিবর্তনটি “সিস্টেমের কাছে অবাকের বিষয়”।

তিনি সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন,”আমার কিছু করা উচিত যা আমি করতে পারি, এমন কিছু যা আমি মনে করি যে আমি অবদান রাখছি এবং সহায়তা করছি”।

ক্রয়েডনের সুপারমার্কেটে খাদ্য সরবরাহ কেন্দ্রে এখন প্রায় ৫০০ ড্রাইভারের মধ্যে তিনি একজন। তিনি নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে চিকিৎসকদের মতো কাজ করে চলেছেন প্রতিনিয়ত। তবে তিনি জানেন যে তিনি লকডাউনের আওতায় থাকা সকলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা সরবরাহ করছেন।

একদিন সন্ধ্য়ায় একটি ছোট আবাসনের রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় তার নজরে আসে আবাসনের আবাসিকরা তাকে দেখে করতালি দিচ্ছেন জরুরি পরিষেবায় কাজ করার জন্য। তা দেখে তিনি আবেগপ্লুত হয়ে পড়েন। এই দৃশ্য দেখে তিনি বলেন, মানুষের সঙ্গে আলাপচারিতা করতে পেরে ভাল লাগছে। মানুষের সেবাতেই তাঁর আনন্দ!